তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে নামাযের জামাতে শামিল হওয়া কত বড় যে ভুল জেনে নিন। - TutorialBD71-টিউটোরিয়ালবিডি৭১ তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে নামাযের জামাতে শামিল হওয়া কত বড় যে ভুল জেনে নিন। | TutorialBD71-টিউটোরিয়ালবিডি৭১
Loading...
বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে নামাযের জামাতে শামিল হওয়া কত বড় যে ভুল জেনে নিন।



আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে ইসলাম ধর্মের একটি প্রধান ইবাদত হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা। আর ইসলাম এই নামাযকে একাকীত্বভাবে আদায় করার চেয়ে কয়েকজনের সম্মিলিতভাবে আদায় করার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছে। আর যাকে বলা হয় জামাত। সাধারণত জামাতে নামায আদায় করা হয় মসজিদে। আর যখনি মসজিদে কোনো নামাযের জামাত শুরু হয়ে যায় বা জামাতের সময় ঘনিয়ে আসে তখনই প্রায়ই আমরা দৌঁড়ে গিয়ে জামাতে সামিল হই। ইমাম যদি রুকুতে থাকেন তাহলে আমাদের দৌঁড়ের গতি আরো বেড়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা ঘটার আশংকাও থাকে। অথচ এই নিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কড়া নিষেধ করেছেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এই বিষয়ের উপর অসংখ্য হাদিস রয়েছে।

আসলে আমরা জামাতের কিছু অংশ ছুটে যাবে ভেবে এইরূপ করে থাকি। কিন্তু তা ঠিক না। যেহেতু নবী কারীম (সঃ) নিষেধ করেছেন। আপনার হয়তো মনে হতে পারে আমি তো আল্লাহর ইবাদত করার জন্যই এইরূপ করছি। যেহেতু রাসূল (সঃ) নিষেধ করেছেন সেহেতু এইরূপ করা যাবে না। চলুন এই ব্যাপারে নিচে থেকে দুইটি হাদিস পড়ে নেই, তাহলে আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন।

প্রথম হাদিসঃ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যখন নামাযের জন্য ইক্বামত (তাকবীর) দেওয়া হয় তখন তোমরা তাতে দৌড়ে আসবে না, বরং তোমরা গাম্ভীর্য-সহকারে স্বাভাবিকরূপে হেঁটে আসবে। তারপর যতটা নামায (ইমামের সাথে) পাবে, পড়ে নেবে। আর যতটা ছুটে যাবে, ততটা (নিজে) পূরণ করে নেবে।’’ (সহীহুল বুখারী ৬৩৬, ৯০৮, মুসলিম ৬০২, তিরমিযী ৩২৭, নাসায়ী ৮৬১, আবূ দাউদ ৫৭২, ৫৭৩, ইবনু মাজাহ ৭৭৫, আহমাদ ৭১৮৯, ৭২০৯, ৭৬০৬, ৭৭৩৫, ২৭৪৪৫, ৮৭৪০, ১০৫১২, ১৩১৪৬, মুওয়াত্তা মালিক ১৫২, দারেমী ১২৮২)

দ্বিতীয় হাদিসঃ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ সলাতের জন্য ইক্বামত দেয়া হয়ে গেলে তোমরা দৌড়াদৌড়ি বা তাড়াহুড়া করে সলাতে এসো না। বরং প্রশান্তি সহ গাম্ভীর্য রেখে সলাতে শারীক হও। অতঃপর ইমামের সাথে যতটা সলাত পাও তা আদায় করো। আর যতটা না পাবে তা পূরণ করে নাও। কেননা তোমাদের মধ্যে কেউ যখন সলাত আদায়ের সংকল্প করে তখন সে সলাতরত থাকে বলেই গণ্য হয়। (সহীহ মুসলিম ই.ফা ১২৩৫, ই.সে. ১২৪৭)

আশা করি উক্ত হাদিসগুলি পড়ার পর আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, রাসূল (সঃ) এই ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। হাদিসগুলি বিচার বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর যিনি পুরো জাহানের মালিক। তার ঘরে আমরা নম্র ও ভদ্রভাবে যেতে হবে। কারণ যেহেতু আমরা নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করি অর্থাৎ তার সামনে উপস্থিত হই।

এছাড়াও দৌঁড়ে গেলে আমাদের হার্টবিট বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে আসে। হাপাতে হাপাতে নামাজ পড়তে থাকলে নামাজের খুশু-খুযু নষ্ট হয়। একাগ্রচিত্তে নামাজে ব্যাঘাত ঘটে। এই নিষেধের পিছনে এটাও একটা কারণ হতে পারে।

তাই জামায়াতের সময় ঘনিয়ে আসলে বা জামায়াত শুরু হয়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবে একটু পা চালিয়ে দ্রুত হাঁটলেও সেটা যেন দৌঁড় বা তাড়াহুড়ার পর্যায়ে চলে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখব। আমরা যারা জামাতে নামায পড়ি তারা সবসময় চেষ্টা করব নামাযের সময় হলে তার কিছু অল্প সময় আগে মসজিদে উপস্থিত থাকতে। তাহলে আর এই সমস্যার সম্মুখীন হবো না।

তথ্যসূত্রঃ মুসলিম ডে।

আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your comment.

 

Enter your email address:

Delivered by Mahbub Pathan


Home | About US | Ceo and Founder | Privacy Policy | Contact Us
TOP