ঘূর্ণিঝড়! ঘূর্ণিঝড়!! ঘূর্ণিঝড়!!! এই বছরটা মনে হয় যেন ঘূর্ণিঝড়ের একটি বিশেষ বছর। কেননা, এই পর্যন্ত কমবেশি পৃথবীর কয়েকটি দেশে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। যা গুণতে গেলে প্রায় ৫০টির মত হবে। এইতো এখনি পৃথিবীর দুই প্রান্ত পূর্ব পশ্চিমে চলতেছে বিশাল দুইটি ঘূর্ণিঝড়। একটি হলো ভারতের উপর চলা তিতলি। আর আরেকটি হলো আমেরিকার উপর চলা মাইকেল। তো আসলে এই ঘূর্ণিঝড়গুলা কী? কিভাবে এর সৃষ্টি? এর নামকরণ কিভাবে হলো? তার কিছু খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে আমরা আমেদর এই টিউটোরিয়াল বা পোস্টের মাধ্যমে জানবো।
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণ :
সমুদ্রের পানি উষ্ণ হয়ে বায়ু উত্তপ্ত করে যার ফলে এই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। উষ্ণ বাতাস যদি হালকা হয় তাহলে তা উপরে উঠে যায়। বিপরীত উপরের ঠাণ্ডা বাতাস নিচের দিকে নেমে যায়। এইরূপ হওয়াতে বাতাসের চাপ একদম কমে যায়। তখন আশেপাশের এলাকার বাতাসে তারতম্য তৈরি হয়। যেখানে বাতাসের চাপ কমে যায় সেখানে বাতাসের চাপ সমান হতে আশেপাশের এলাকার বাতাস দ্রুতবেগে ছুটে আসে এখানে। যার ফলে তখনই সৃষ্টি হয় বিশাল ঘূর্ণিঝড়ের। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক দ্রুতবেগের বাতাস ও সমুদ্রের স্রোতের সৃষ্টি হয়। আর এই বিশাল বাতাস যখন ভূমি বা উপকূলে চলে আসে তখনই বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের দেখা দেয়। আর এইগুলিকেই আমরা বিভিন্ন নামে অভিহিত করি।
সমুদ্রের পানি উষ্ণ হয়ে বায়ু উত্তপ্ত করে যার ফলে এই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। উষ্ণ বাতাস যদি হালকা হয় তাহলে তা উপরে উঠে যায়। বিপরীত উপরের ঠাণ্ডা বাতাস নিচের দিকে নেমে যায়। এইরূপ হওয়াতে বাতাসের চাপ একদম কমে যায়। তখন আশেপাশের এলাকার বাতাসে তারতম্য তৈরি হয়। যেখানে বাতাসের চাপ কমে যায় সেখানে বাতাসের চাপ সমান হতে আশেপাশের এলাকার বাতাস দ্রুতবেগে ছুটে আসে এখানে। যার ফলে তখনই সৃষ্টি হয় বিশাল ঘূর্ণিঝড়ের। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক দ্রুতবেগের বাতাস ও সমুদ্রের স্রোতের সৃষ্টি হয়। আর এই বিশাল বাতাস যখন ভূমি বা উপকূলে চলে আসে তখনই বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের দেখা দেয়। আর এইগুলিকেই আমরা বিভিন্ন নামে অভিহিত করি।
ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে প্রার্থক্য :
আমরা এই ঘূর্ণিঝড়গুলোকে তিনভাবে চিনি। সেগুলো হলো - হ্যারিকেন, টাইফুন ও সাইক্লোন। আসলে এইগুলো সবগুলো একই। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল এবং ঝড়ের গতিবেগের উপর নির্ভর করে এদেরকে উপরের উপরোল্লিখিত নামে আলাদা আলাদাভাবে ডাকা হয়। যেমন আটলান্টিক, ক্যারিবিয়ান সাগর, মধ্য ও উত্তরপূর্ব মহাসাগরে যেসব ঝড়ের সৃষ্টি হয় সেগুলিকে হ্যারিকেন নামে অভিহিত করা হয়। আর যেসব ঝড়ের উৎপত্তি উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সেগুলিকে টাইফুন নামে অভিহিত করা হয়। আর আমাদের বঙ্গপসাগরে ও আরব সাগরে উৎপত্তি ঝড়গুলিকে সাইক্লোন নামে অভিহিত করা হয়।
আমরা এই ঘূর্ণিঝড়গুলোকে তিনভাবে চিনি। সেগুলো হলো - হ্যারিকেন, টাইফুন ও সাইক্লোন। আসলে এইগুলো সবগুলো একই। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল এবং ঝড়ের গতিবেগের উপর নির্ভর করে এদেরকে উপরের উপরোল্লিখিত নামে আলাদা আলাদাভাবে ডাকা হয়। যেমন আটলান্টিক, ক্যারিবিয়ান সাগর, মধ্য ও উত্তরপূর্ব মহাসাগরে যেসব ঝড়ের সৃষ্টি হয় সেগুলিকে হ্যারিকেন নামে অভিহিত করা হয়। আর যেসব ঝড়ের উৎপত্তি উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সেগুলিকে টাইফুন নামে অভিহিত করা হয়। আর আমাদের বঙ্গপসাগরে ও আরব সাগরে উৎপত্তি ঝড়গুলিকে সাইক্লোন নামে অভিহিত করা হয়।
মনে রাখবেন, কোনো ঝড়ের নিম্নচাপ ঘণ্টায় যদি ৬২ কিঃমিঃ গতির মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে সেগুলি হলো আঞ্চলিক ঝড় এবং এইগুলোর আলাদা আলাদা নামকরণ করা হয়। যেমন - উপরের তিতলি ও মাইকেল। আর কোনো ঝড়ের নিম্নচাপ যদি ঘণ্টায় ১১৯ কিঃমিঃ গতি অতিক্রম করে তখন সেই ঝড়গুলিকেই মূলত সমুদ্র ভিত্তিকভাবে হ্যারিকেন, টাইফুন ও সাইক্লোন নামে অভিহিত করা হয়।
ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণের পদ্ধতি :
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার মাধ্যমে এই ঝড়গুলির নামকরণ করা হয়। এর জন্য অঞ্চলভেদে আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার কমিটিরা নামগুলো ঠিক করেন। অর্থাৎ আমাদের বঙ্গপসাগর বা ভারত সাগরে এই পর্যন্ত যত ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে বা সামনে হবে সেগুলোর নাম এই অঞ্চলের দেশগুলোর আবহাওয়া সংস্থার মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা। নাম লিপিবদ্ধকরণের দেশগুলো হচ্ছে - বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান। এইরকম অন্য পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলও সেখানের কয়েকটি দেশ মিলে এইরকমভাবে নাম লিপিবদ্ধ করে থাকেন। মূলত এই ঘূর্ণিঝড়গুলোকে আলাদা আলাদাভাবে চিনবার জন্য এই নামগুলো রাখা হয়। আর সামনে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো আসবে সেগুলোর নামও কিন্তু অলরেডি লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। যেমন - বর্তমান ভারতের উপর যে ঘূর্ণিঝড় আক্রমণ করেছে তার নাম তিতল, এটি পাকিস্তানের দেওয়া নাম। আর সামনে যে ঘূর্ণিঝড়টি আসবে সেটির নাম হবে গাজা, এটি থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম।
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার মাধ্যমে এই ঝড়গুলির নামকরণ করা হয়। এর জন্য অঞ্চলভেদে আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার কমিটিরা নামগুলো ঠিক করেন। অর্থাৎ আমাদের বঙ্গপসাগর বা ভারত সাগরে এই পর্যন্ত যত ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে বা সামনে হবে সেগুলোর নাম এই অঞ্চলের দেশগুলোর আবহাওয়া সংস্থার মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা। নাম লিপিবদ্ধকরণের দেশগুলো হচ্ছে - বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান। এইরকম অন্য পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলও সেখানের কয়েকটি দেশ মিলে এইরকমভাবে নাম লিপিবদ্ধ করে থাকেন। মূলত এই ঘূর্ণিঝড়গুলোকে আলাদা আলাদাভাবে চিনবার জন্য এই নামগুলো রাখা হয়। আর সামনে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো আসবে সেগুলোর নামও কিন্তু অলরেডি লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। যেমন - বর্তমান ভারতের উপর যে ঘূর্ণিঝড় আক্রমণ করেছে তার নাম তিতল, এটি পাকিস্তানের দেওয়া নাম। আর সামনে যে ঘূর্ণিঝড়টি আসবে সেটির নাম হবে গাজা, এটি থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম।
উপরিউক্ত টিউটোরিয়াল বা পোস্টটির বিস্তারিতভাবে বিষয়টি পড়ে আপনাদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মৌলিক বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আমি আসলে এখানে একদম সহজ ভাষায় সংক্ষেপ করে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে আপনাদের মৌলিক ধারনা দিতে পোস্টটি করেছি। আশা করি আমার এই প্রচেষ্টাটির মাধ্যমে আপনারা ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা পেয়েছেন।
Hi
উত্তরমুছুনhello
মুছুন