বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও প্লাটফর্ম YouTube (ইউটিউব)। যার ফলস্বরূপ আমরা সকলেই কমবেশী ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে যাদের হাতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন এবং ওয়াফাই নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা আছে, তারা সকলেই অনলাইনে যেকোন ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউব ব্যবহার করে থাকি। তো আমি মূলত আজকে সেই জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউবের বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার এই টিউটোরিয়ালটি মূলত যারা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ইউটিউব ব্যবহার করে থাকেন, তাদের জন্য। আমরা সবাই আমাদের স্মার্টফোনে যে ইউটিউব অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। তা কিন্তু মোবাইলে আগে থেকে ডিফল্টভাবে ফ্রি ভার্সন দেওয়া থাকে। যার ফলে আমরা ইউটিউব অ্যাপ এর বেসিক বা মৌলিক ফিচারগুলি ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু অন্যান্য অ্যাপের মত ইউটিউবেরও প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে। যাতে আরো অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে। যা আমরা হয়তো অনেকেই জানি না এবং ঐ সুবিধা বা ফিচারগুলি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তবে উক্ত প্রিমিয়াম এর সুবিধা আপনাকে কর্তৃপক্ষ দিতে পারে। যদি আপনি তাদেরকে মাসিক ১৩০/- (একশত ত্রিশ) টাকার মত পেমেন্ট করেন।
আমাদের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থাকতে কেন আমরা ইউটিউবের প্রিমিয়াম ভার্সন এর সুবিধা বা ফিচারগুলি ভোগ করব না। তাই চলুন আজকে থেকে ইউটিউব এর ফ্রি ভার্সন ছেড়ে প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করি। কোনরকম টাকা দেওয়া ছাড়াই।
ইউটিউবের প্রিমিয়াম ভার্সন অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইনস্টল করার পূর্বে microG নামের apk প্রোগ্রামটি এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।
তারপর একদম ইউটিউবের সর্বশেষ প্রিমিয়াম ভার্সন এর অ্যাপটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন এবং আপনার মোবাইলে ইনস্টল করে নিন।
ইউটিউব প্রিমিয়াম অ্যাপের ফিচারসমূহ:
০৪. চতুর্থত ইউটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিচার ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম। মিলিয়ন মিলিয়ন গান শুনতে পারবেন কোনরকম অ্যাড বা বিজ্ঞাপন ছাড়া। যেকোন গান ডাউনলোড করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে অফলাইনে শুনতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ড সিস্টেম করে অডিও আকারে।
এছাড়াও আরো অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন এর মধ্যে সচারচর একটা বিষয় হলো আপনি যখন ইউটিউব অ্যাপটি ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ হোম পেজে থাকবেন। তখন ভিডিও প্লে বা চালু না করলেও অটো ভিডিও চলতে থাকবে। যার ফলে আপনি ভিডিও প্লে না করেই ভিডিওর পুরো বিষয়টি বুঝে যেতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাকগ্রাউন্ডে প্লে করার সিস্টেম থাকাতে আপনি আপনার মোবাইল লক করেও ইউটিউব থেকে যেকোন গান বা অন্যকিছু শুনতে পারবেন। এইরকম আরো অনেক সুবিধা পাবেন অ্যাপটি ব্যবহার করলে।
০১. প্রথমত আপনি ইউটিউবে যেকোন ভিডিও একদম যেকোন অ্যাড বা বিজ্ঞাপন ছাড়া দেখতে পারবেন। অর্থাৎ ফ্রি ভার্সনের মত কোন ভিডিও দেখার সময় ৫ সেকেন্ডের কোন অ্যাড আসবে না।
০২. দ্বিতীয়ত যেকোন ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে ইন্টারনেট ডাটা না থাকলেও অফলাইনে ভিডিও দেখতে পারবেন। যদিও ফ্রি ভার্সনে এই সিস্টেমটি চালু রয়েছে। তবে খেয়াল করে দেখবেন ফ্রি ভার্সনে কিছুকিছু ভিডিও ডাউনলোড দেওয়া যায় না। তবে এই প্রিমিয়াম ভার্সনে যেকোন ভিডিও ডাউনলোড দিতে পারবেন।
০৩. তৃতীয়ত আপনি যেকোন ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ডেও চালাতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি আপনার মোবাইলে অন্যান্য যেকোন অ্যাপ ব্যবহারের সময় আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারবেন। এছাড়াও উক্ত ভিডিও আপনি ইচ্ছে করলে অডিও আকারেও শুনতে পারবেন। যা ফ্রি ভার্সনে করতে পারবেন না।
০৪. চতুর্থত ইউটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিচার ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম। মিলিয়ন মিলিয়ন গান শুনতে পারবেন কোনরকম অ্যাড বা বিজ্ঞাপন ছাড়া। যেকোন গান ডাউনলোড করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে অফলাইনে শুনতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ড সিস্টেম করে অডিও আকারে।
এছাড়াও আরো অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমন এর মধ্যে সচারচর একটা বিষয় হলো আপনি যখন ইউটিউব অ্যাপটি ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ হোম পেজে থাকবেন। তখন ভিডিও প্লে বা চালু না করলেও অটো ভিডিও চলতে থাকবে। যার ফলে আপনি ভিডিও প্লে না করেই ভিডিওর পুরো বিষয়টি বুঝে যেতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাকগ্রাউন্ডে প্লে করার সিস্টেম থাকাতে আপনি আপনার মোবাইল লক করেও ইউটিউব থেকে যেকোন গান বা অন্যকিছু শুনতে পারবেন। এইরকম আরো অনেক সুবিধা পাবেন অ্যাপটি ব্যবহার করলে।
সর্বশেষ সাবধানতার জন্য বলে রাখি, অবশ্যই অ্যাপটিতে কোন জিমেইল অ্যাকাউন্ট বা আইডি ব্যবহার করবেন না। যদি ব্যবহার করে থাকেন এবং গুগল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝতে পারে যে, আপনি কোনরকম টাকা পয়সা তাদেরকে না দিয়ে ফাকি দিচ্ছেন। তাহলে হয়তো তারা আপনার অ্যাকাউন্টটি আজীবনের জন্য ব্যান বা বাতিল করে দিতে পারে। তাই আমি বলব, সাধারণ একটা আলাদা করে জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এই অ্যাপটিতে ব্যবহার করার জন্য। কারণ আইডি থাকলে কিছু সুবিধা ভোগ করা যায়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for your comment.