আপনার আইডি কার্ডের গোপন ইউনিক নাম্বার বের করে নিন। - TutorialBD71-টিউটোরিয়ালবিডি৭১ আপনার আইডি কার্ডের গোপন ইউনিক নাম্বার বের করে নিন। | TutorialBD71-টিউটোরিয়ালবিডি৭১
Loading...
বুধবার, ২৫ মে, ২০২২

আপনার আইডি কার্ডের গোপন ইউনিক নাম্বার বের করে নিন।



বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ন্যাশনাল আইডি কার্ড আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। কেননা সবধরনের কাজে ক্ষেত্রে এই কার্ডটির প্রয়োজন পড়ে। তাই যাদের ১৮ বছর হয়ে গেছে তাদের উচিৎ নিজ উদ্যোগে ভোটার তালিকায় নাম উঠানো। এখন আপনার যদি আইডি কার্ড থেকে থাকে তাহলে আপনি এই পোস্টটি পড়া শুরু করতে পারেন। কারণ উপরের শিরোনাম অনুযায়ী আমরা আজকে জানতে চলেছি যে, কিভাবে নিজের আইডি কার্ডের দুটো ইউনিক নাম্বার থেকে গোপন নাম্বারটি বের করা যায় বা জানা যায়।


আমরা সকলেই জানি যে, প্রত্যেকটি আইডি কার্ডের আলাদা আলাদা একটা ইউনিক নাম্বার দেওয়া থাকে। ঠিক উপরের ছবির মাশরাফি বিন মুর্তজার আইডি কার্ডের মত। কিন্তু আপনি জানেন কি? এই নাম্বারটি ছাড়াও আপনার আইডি কার্ডের আরেকটি ইউনিক নাম্বার আছে। যাকে বলা হয় পিন নাম্বার। অর্থাৎ এটি হলো আপনার আইডি কার্ডের আরেকটি নাম্বার। এই নাম্বারের মাধ্যমে আপনাকে যেমন সনাক্ত করা সম্ভব। ঠিক আপনার কার্ডে উল্লেখিত নাম্বার দিয়েও আপনাকে সনাক্ত করা সম্ভব। লক্ষ করে দেখবেন যে, আইডি কার্ডের মধ্যে দুই ধরনের ডিজিট দেখা যায়। অর্থাৎ কারো কারো আইডি কার্ডে ১৭ ডিজিট আবার কারো কারো আইডি কার্ডে ১০ ডিজিটের নম্বর দেখা যায়।


যারা ২০০৭ থেকে ২০১২ এর সময় গণহারে ভোটার হয়েছেন তাদের আইডি কার্ডে মূলত ১৭ ডিজিটের নাম্বার দেওয়া। আর যারা এর পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় ভোটার হয়েছেন তাদের আইডি কার্ড নাম্বার থাকে ১০ ডিজিটের। এইবার আপনার কার্ডটিতে ১০ ডিজিট থাকুক বা ১৭ ডিজিট থাকুক এর আরেকটি গোপন নাম্বার রয়েছে। যাদেরটা ১০ ডিজিটের তাদের গোপন নাম্বার রয়েছে ১৭ ডিজিটের। আর যাদের ১৭ ডিজিটের তাদের গোপন নম্বর রয়েছে ১০ ডিজিটের। এখন আপনি চাইলে এই দুটো নম্বরই ব্যবহার করতে পারবেন।


লক্ষ করে দেখবেন যে অনেক জায়গায় আবেদন করার সময় আমরা আমাদের আইডি কার্ডে উল্লেখিত নাম্বারটি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কোন কারণ বশত আমরা আমাদের আবেদনটি ফাইনাল সাবমিট দেওয়ার পর আর এডিট বা সংশোধন করতে পারি না। কারণ আমরা আবেদনের সময় যে আইডি নাম্বারটি ব্যবহার করেছি। তা দিয়ে আর দ্বিতীয়বার আবেদন করা সম্ভব না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার আইডি কার্ড নাম্বার দিয়ে আবেদন করে ফাইনাল সাবমিট দিয়ে দেন। এখন আপনি চাচ্ছেন যে, কোন কারণে আবেদনটি সংশোধন করতে বা পুনরায় আবেদন করতে। কিন্তু আপনি এখন আর তা করতে পারবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি আপনার আগের আবেদনটি বাতিল করবেন। এই বাতিল করার কাজটা যে কত ঝামেলার তা করতে গেলে বুঝতে পারবেন। তো এইরকম সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনি আপনার আরেকটি যে গোপন আইডি কার্ড নাম্বার রয়েছে তা দিয়ে আবার নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। আর এইসব ক্ষেত্রেও যদি আপনার প্রয়োজন না হয়ে থাকে। তাহলে সমস্যা কি যদি আইডি কার্ডের গোপন নাম্বারটি আপনার জানা থাকে।

আইডি কার্ডের গোপন নাম্বারটি বের করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে এই লিংকে ভিজিট করতে হবে। ভিজিট করার পর ঠিক উপরের স্ক্রিনশটের মত আসবে। এখানে আপনাকে আইডি কার্ডের নাম্বার অথবা ফরমের নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং উপরোল্লিখিত কোড দেখে নিচের বক্সে টাইপ করে ভোটার তথ্য দেখুন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঠিক উপরের স্ক্রিনশটের মত আসবে। এখানে আপনি আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার কত তা দেখতে পাবেন, সিরিয়াল নং, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পিন ও ভোটার এলাকা দেখতে পাবেন। এখানে পিন নামের যে বক্সটিতে নাম্বার রয়েছে। এটাই হলো আপনার গোপন নাম্বার।




তো এইভাবে মূলত আপনি আপনার আইডি কার্ডের আরেকটি গোপন থাকা নাম্বার জেনে নিতে পারবেন। আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। এই বলে আমি আমার পোস্টটি এখানেই শেষ করলাম।

বিঃ দ্রঃ বর্তমানে সারা দেশ ব্যাপি ভোটার তথ্য হালনাগাদ চলার কারণে ভোটার তথ্যের পরিষেবাটি বন্ধ রয়েছে। তাই আপনি এখন উপরোল্লিখিত লিংকে ভিজিট করলে তা Not Found দেখাবে।

আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your comment.

 

Enter your email address:

Delivered by Mahbub Pathan


Home | About US | Ceo and Founder | Privacy Policy | Contact Us
TOP