করোনা মহামারী পুরো বিশ্বকে ঘ্রাস করেছে যা আমাদের সকলেরই জানা। বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এই করোনার কারণে। অবশেষে এটি থেকে পরিত্রাণ পেতে চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেন এবং সে ভ্যাকসিন ব্যবহারের মাধ্যমে এখন মানুষ কিছুটা সস্তিতে রয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন এতোদিন শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য অনুমোদিত ছিল শিশুদের জন্য ছিলো না। কিন্তু করোনা তো আর শিশু বা প্রাপ্ত বয়স বুঝে না। সকলকেই গ্রাস করে। তাই বাংলাদেশ সরকার এইবার শিশুদের জন্যও করোনা টিকা দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
গত ০৩/০৮/২০২২ইং তারিখে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয় যে ৫ বছর থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যা মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক দেওয়া হবে। তাই এর জন্য সকল অভিভাবকদের আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা ভ্যাকসিনের জন্য প্রস্তুতিঃ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের অতি সহসায় ফ্রিতে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। নিয়মানুযায়ী যেহেতু করোনা টিকা বা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পূর্বে অনলাইন সার্ভার সুরক্ষাতে নিবন্ধন করতে হয়। সেহেতু শিশুদের ক্ষেত্রেও একইভাবে অনলাইনে সুরক্ষা সার্ভারের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। যা সুরক্ষা ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপের সাহায্যে করা যাবে।
➤ সুরক্ষা ওয়েবসাইট লিংক - https://surokkha.gov.bd/enroll/birth-registration
➤ সুরক্ষা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ - https://play.google.com/store/apps/details?id=com.codersbucket.surokkha_app
এখান থেকে যেকোনো একটি মাধ্যম ব্যবহার করে সুরক্ষা সার্ভারে নিবন্ধন করা যাবে। যেকোনো একটি মাধ্যমে প্রবেশ করার পর নিবন্ধন বা Registration বাটনে ক্লিক করুন। তারপর জন্ম নিবন্ধন বা Birth Reg. Certificate বাটনে ক্লিক করে জন্ম সনদ নম্বর বা Birth Certificate Number এর ঘরে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের ১৭ সংখ্যার নম্বর লিখে জন্ম তারিখ নির্বাচন করে উপরোল্লিখিত সিকিউরিটি কোড দেখে নিচের ঘরে তুলে যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করে নিবন্ধন করে নিন। তারপর নিবন্ধন শেষে টিকা কার্ডটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখুন।
কারণ যেকোনো মুহুর্তেই শিশুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ঘোষণা আসতে পারে। তখনই শিশুর টিকা কার্ডের প্রয়োজন পড়বে। টিকা কার্ড ছাড়া শিশুকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে না। উল্লেখ্য এই কাজটি আগে থেকেই সেরে রাখুন কারণ যখন ঘোষণা আসবে তখন সারা বাংলাদেশে একসাথে চাপ পড়ার কারণে সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এছাড়াও এখন আরো হচ্ছে বিদ্যুতের সমস্যা।
শিশুর যদি জন্ম সনদ না থাকে তাহলে অতি দ্রুত তৈরি করে নিন। এটি ছাড়া সুরক্ষাতে নিবন্ধন করতে পারবেন না। আর যদি থেকে থাকেও দেখতে হবে সেটি কত নম্বরের সংখ্যার। কারণ ১৭ সংখ্যার নম্বরের জন্ম নিবন্ধন লাগবে। সেটি ১৭ এর নিচে হলে সেটিকে আবার নতুন করে করে নিন। বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশী শিশুদের ক্ষেত্রে তারা যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতেছে সে সকল প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেরিত এক্সেল চকে নাম তুলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইমেইল অ্যাড্রসে পাঠিয়ে দিবে। এর জন্য তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
সকল অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলতেছি তাই আর দেরি না করে আপনার শিশুকে করোনা থেকে বাঁচাতে এখনই উপরোল্লিখিত বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন এবং নিজের শিশুকে সুরক্ষিত রাখুন। যেহেতু এইসব টেক সাইটে অভিভাবক বা বয়স্কদের আনাগোনা কম হয়ে থাকে সেহেতু সকল ভিজিটর ভাইদের কাছে অনুরোধ আপনি আপনার আশেপাশের সকল পরিবারবর্গদের উক্ত বিষয়ে অবগত করে দিন।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for your comment.